আজকের আর্টিকেলে আমরা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল কি হতে পারে এবং অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন।
বর্তমানে আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। বাচ্চারা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত প্রায় সকলেরই হাতে একটি মোবাইল ফোন সবসময় থাকে৷ মোবাইল ফোন আমাদের অনেক কাজে আসে।
এমনিতে আমরা সবসময় মোবাইল ফোন পকেটে নিয়ে ঘুরি। আর যেকোনো সময়ে একটি সু্যোগ পেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ হয়ে যাই। বন্ধুদের মেসেজের reply সঠিক সময়ে দিয়ে থাকি।
কিন্তু এতে আপনারা বন্ধুরা খুশি হলেও এর অপকারীতা অবশ্যই অবশ্যই রয়েছে। যা আপনার শরীরের উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।
তাই এই আর্টিকেলে আমি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল বা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি? অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলোতে মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যেমন মোবাইল ফোনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি।
তাছাড়া আরো প্রচুর কাজে আমদের একটি মোবাইল ফোনের দরকার পড়ে। যেমন, গেম খেলা, ভিডিও কিংবা ভয়েস কলে কথা বলা, ভিডিও দেখা, গান শোনা ইত্যাদি কাজে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি।
আমাদের হাতে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে তাহলে আমরা কোনো সমস্যা ছাড়াই দিনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দিতে পারি।
সুতরাং মোবাইল ফোন আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আর আমরা অবশ্যই জানি যে, কোনো একটি জিনিসের অনেক উপকারিতা থাকলে পাশাপাশি এর অপকারিতাও অনেক থাকে।
ঠিক তেমনি মোবাইল ফোনের অপকারিতা অনেক রয়েছে। এর অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের শরীরের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলে। যা আমরা বেশীরভাগ সময় সরাসরি টের পাই না।
এখন একটি স্মার্টফোনকে ছোটো আকারের একটি কম্পিউটার বললে ভুল হয় না। কেননা এটি একটি কম্পিউটারের মতোই কাজ করে থাকে৷
তাই ছোটোরা থেকে সকল বয়সের মানুষরাই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন এবং তাদের এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করাটা এক ধরনের নেশায় পরিণত হয়ে যায়।
আর একবার মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি জন্মে গেলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে এবং শারীরিক ও মানসিক নানা রকম ক্ষতি হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি?
আজকাল বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এবং তরুণ তরুণিরা মোবাইল ফোনের প্রতি খুব বেশি আসক্ত হয়ে যান।
তাই আপনিও যদি ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল চালাচ্ছেন বা ব্যবহার করছেন তাহলে আপনারও এর প্রতি এক প্রকারের নেশা হয়ে গেছে।
আর এই নেশা আপনার শারীরিক এবং মানসিক উভয় ধরনের ক্ষতি সাধন করে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে নিচে জেনে নিন।
- অতিরিক্ত সময় নষ্ট করে
- স্টুডেন্টদের পড়াশোনায় মন বসে না
- স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়
- চোখের ক্ষতি হয়
- কাজে মন বসে না
- অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়
- নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা সম্পর্কিত
- দূর্ঘটনা হওয়ার সুযোগ থাকে
- শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়
- ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়
এখন চলুন নিচে এসব বিষয়ে এক এক করে জেনে নিই।
১. অতিরিক্ত সময় নষ্ট হয়
বন্ধুরা আপনি যদি দিনের ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ধরে শুধু মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তাহলে তো আপনার অনেক সময় অপচয় হবেই।
আপনি যদি সারাক্ষন মোবাইলে গেম খেলে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, গান এবং সিনেমা দেখে কিংবা ইউটিউবে কাটিয়ে দিচ্ছেন তাহলে আপনার তো অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসব কাজে অযথা সময় নষ্ট না করে যে কাজগুলো করলে আপনার উপকারে আসবে বা লাভ হবে সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। নতুন কোন বিষয়ে স্কিল অর্জন করতে পারেন।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট তাহলে পড়াশোনায় ভালোভাবে মন দিন। কারণ পড়াশোনা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করবে। তাই বলে আমি আপনাকে মোবাইল ফোনে এই কাজগুলো একদম করতে নিষেধ করতেছিনা।
এগুলো আপনি অবশ্যই করবেন। কিন্তু তা আপনার আসল কাজ শেষ হওয়ার পরে কিছু সময় এগুলোতে ব্যয় করবেন।
২. স্টুডেন্টদের পড়াশোনায় মন বসে না
বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রী দের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রতীয়মান হয়ে ওঠে। কেননা বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীরাই তাদের অনেক মূল্যবান সময় মোবাইল ফোনে কাটিয়ে দেয়। এতে তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
স্কুল কিংবা কলেজের স্টুডেন্টদের প্রায় বেশীরভাগই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। এখানে তারা অধিক সময় ব্যয় করে ফেলে। যেহেতু তাদের বন্ধু বান্ধব অনেক থাকে।
তাই তারা সারাক্ষন তাদের বন্ধু বান্ধব দের চ্যাটিং করতে ব্যস্ত থাকে। এটি তাদের জিবনের লক্ষে কতটা বড় প্রভাব ফেলে তা এই সময়ে তারা পুরোপুরি বুঝতে পারে না।
তাই ছাত্র ছাত্রীদের খুব কম সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত।
আর যদি মোবাইল হাতে রাখতেই হয় তাহলে শিক্ষা বিষয়ক অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেম্ন একটি শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট হলো 10 minute school.
এছাড়াও শিক্ষা বিষয়ক অনেক ইউটিউব চ্যনেল রয়েছে যেগুলোতে পড়াশোনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই প্লাটফর্মগুলোতে সময় কাটালে আপনি কিছু শেখার মধ্যে থাকতে পারবেন।
৩. অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়
বর্তমানে সকলেই সারাদিন অনেক কাজের চাপে থাকেন। কাজের অনেক চাপের আমাদের মস্তিষ্ক বা ব্রেইনকে সবসময়ই কাজ করতে হয়।
কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের তেমন বিশ্রাম নেওয়ার সময় থাকে না এবং অনেক ব্যস্ত জীবন পার করে থাকেন।
যেহেতু তাদের মস্তিষ্ক সবসময়ই সচল থাকে তাই সুস্থ থাকার জন্য মস্তিষ্কের বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন হয়। কিন্তু তারপরও অনেকে দিনে কাজ করে রাতে অনেক রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করে থাকে বা মোবাইল ব্যবহার করে৷
যেহেতু সে অনেক রাত জেগে থাকে এতে কিন্তু তার মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়ার সময় পায় না। তাই ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি কমে যেতে পারে।
তাই আমাদের উচিত অনেক রাত জেগে মোবাইপ ফোন ব্যবহার না করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো।
৪. চোখের ক্ষতি হয়
বন্ধুরা বর্তমানে ছোট বাচ্চারা থেকে শুরু বয়ষ্ক মানুষদের অনেকেরই চোখের সমস্যা হয়ে থাকে। কেননা তারা অনেক সময় ধরে মোবাইল ফোন বা টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকে।
আমরা যখন একটানা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকি তখন আমাদের চোখ সবসময় মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে থাকে। এভাবে মোবাইল একটানা ব্যবহার করতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে তা দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
চোখে ঝাপষা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ জালা করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
কেননা মোবাইলের স্ক্রিন থেকে আসা রেডিয়েশন চোখের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৫. কাজে মন বসে না
যখন আপনি অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করতে করতে মোবাইলের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়ে যান তখন আপনার মন কাজের দিকে ভালোভাবে থাকে না।
কেননা আপনার মাথায় এই চিন্তাগুলো সবসময় চলতে থাকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন বন্ধু মেসেজ পাঠালে তার রিপ্লাই দিতে হবে।
নতুন কোন নোটিফিকেশন আসলো কিনা ইত্যাদি। তাই আপনার মোবাইলের প্রতি আকর্ষন অনেক বেড়ে গেলে বিভিন্ন কাজের প্রতি আপনার মনযোগ তেমন থাকে না।
৬. অতিরিক্ত খরচ
আমারা প্রায় সকলেই একটি মোবাইল ফোন কিছুদিন ব্যবহার করার পর সেটি আর ব্যবহার করতে চাই না বা ভালো লাগে না।
কারণ, প্রতিনিয়ত বাজারে অনেক ভালো ভালো মানের নতুন মোবাইল ফোন আসছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে চাই।
সবারই ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। তাই কিছুদিন পর পর একটি করে নতুন মোবাইল ফোন কেনার ফলে আপনার অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। যা মোবাইলের একটি ক্ষরিকর দিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
৭. দূর্ঘটনা সৃষ্টি সৃষ্টি হতে পারে
বর্তমানে অনেককেই রাস্তা ঘাটে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা যায়। বাইক চালাতে চালাতে অনেকে মোবাইলে যোগাযোগ করেন বা কথা বলে থাকেন। এই কাজটি করার ফলে দূর্ঘটনা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এটি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুফলগুলোর মধ্যে একটি।
৮. নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বিষয়ক সমস্যা
বর্তমান সময়ে তরুণ তরুণীরা তাদের অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে কাটিয়ে দেয়। তারা প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে আপলোড করতে পছন্দ করেন।
কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, এতে তাদের নিরাপত্তা বা গোপনীয়তা বিষয়ক প্রশ্ন চলে আসে। নিজেদের সুন্দর সুন্দর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে গোপনীয়তা রক্ষিত নাও হতে পারে।
তাই তরুণ তরুণীদের ছবি আপলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। এটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতাগুলোর মধ্যে পড়ে।
৯. শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়
অনেকেই দেখা যায় যে, সবসময় হেডফোন কানে লাগিয়ে ব্যবহার করে। দীর্ঘ সময় হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শোনে।
অনেক সময় ধরে হেডফোন দিয়ে গান শোনা ক্ষতিকর। কারণ, অনেক দিন ধরে এভাবে লম্বা সময় ধরে হেডফোন ব্যবহার করতে থাকলে শ্রবণ শক্তি কমে আসতে পারে।
তাই আমাদের যখন প্রয়োজন তখন হেডফোন ব্যবহার করতে হবে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ কেউ রাতে হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে।
কিন্তু এটি আমাদের কতটা ক্ষতিকারক তা আমরা ভাবিনা।
১০. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি
অতিরিক্ত মোবাইলের ব্যবহার আপনার ঘুমে ব্যঘাত অবশ্যই ঘটিয়ে থাকে। কেননা আমরা অনেক রাত ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করতে থাকি।
এতে আমাদের মস্তিষ্কের উপর চাপ বেড়ে যায় এবং পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিক গুলো থেকে বাঁচার উপায়
অত্যধিক হারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে কি কি ক্ষতি হয় তা উপরে আমরা আলোচনা করেছি। এখন আমরা এই ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাচার উপায় জানবো।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাচার তেমন কোন উপায় নেই তা আপনি নিজেই বুঝতে পেরেছেন। এর একটাই উপায় রয়েছে সেটি হলো আপনাকে কম পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন গ্রহণ বন্ধ করতে হবে, রাস্তা চলাচলের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। তাছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে এবং জরুরী কাজের সময় Do Not Disturb Mood অন করে রাখার চেষ্টা করবেন।
স্মার্টফোনের ক্ষতিকর প্রভাব: FAQs
একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, একজন মানুষের দৈনিক সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ব্যবহারকারীর চোখের বা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়না।
মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হার্টের সমস্যা, শ্রবণ দুর্বলতা, ক্যানসার, ঘুমের ব্যাঘাত, বন্ধ্যাত্ব, চোখের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে।
স্মার্টফোনকে একটি ছোটো আকারের কম্পিউটার বললেও ভুল হবে না। কারণ, স্মার্টফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখা, ইমেইল আদান–প্রদান, নানারকম অ্যাপ ব্যবহার করা, ফ্রিল্যান্সিং করা, ছবি তোলা, ভিডিও কল করা, গান শোনা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি অনেক কাজ করা যায়।
স্বাস্থ্যগবেষকদের মতে, মোবাইল ফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের ফলে মানুষের মস্তিষ্কে ক্যান্সার হতে পারে। এছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত এই রেডিয়েশন অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে মাথায় টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
আমার শেষ কথা
আশা করি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও এর ফলাফলগুলো আপনারা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।
একটি কথা মনে রাখবেন, যে জিনিসটা আমাদের অনেক উপকারে আসে তার কিন্তু কিছু ক্ষতিকর দিকগুলো অবশ্যই থাকে।
ঠিক একইভাবে মোবাইল ফোনেরও অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমি আলোচনা করলাম।
তাই আমাদের উচিত পরিমিতভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা।
Good post