ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগবে? জেনে নিন
বর্তমানে ২০২৪ এসে দেখা যাবে না যে এমন কোন মানুষ ইউটিউব কে চিনে না। বর্তমান সময় আমরা youtube এর সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত
আমরা ইউটিউবের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান পাচ্ছি । আমরা অনেকেই আছি youtube এ নিজেদের কনটেন্ট বানিয়ে আপলোড করি।
আর অনেকেই আছি যে কনটেন্ট বানাতে চাচ্ছি কিন্তু কন্টেন্ট আপলোড করার জন্য যে একটা youtube চ্যানেলের দরকার তা নেই। তো বন্ধুরা আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে খুলতে চান তাহলে আমার আর্টিকেলটি না টেনে ভালোভাবে পড়ুন। ।
এছাড়াও বন্ধুরা আমাদের এই আর্টিকেলে আরো আলোচনা করব ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগবে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আমরা অনেকেই জানিনা ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়। সে বিষয়ে আমারা আলোচনা করব।
আর প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় সে বিষয়েও আলোচনা করব। এখন হয়ত বা কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন প্রোফেশনাল ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে? তার উত্তর জানার আগে চলুন সামান্য করে জেনে নিই ইউটিউব সম্পর্কে।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম? প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
বর্তমান যুগে ইউটিউব ছাড়া জীবন কল্পনা করাও কঠিন। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত এই ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম আর এটি ২০০৫ সালে গঠিত হয়। আর বর্তমানে youtube এর ভিজিটর প্রতি মাসে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ youtube ব্যবহার করে
ইউটিউবার রা যেভাবে টাকা আয় করে
শুধু ইউটিউব বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউব দিনে শত শত কোটি ডলার টাকা আয় করে থাকে। ইউটিউবাররা যা কনটেন্ট তৈরি করে তা এক একটি কনটেন্ট থেকে যে আয় হয় তার কিছু অংশ দেয়া হয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে।
আর এ কারণেই ইউটিউব এখন অর্থ উপার্জনের বড় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এছাড়াও অনেক সিস্টেমে আয় করা যায় জানতে ইচ্ছুক হলে আমার এই আর্টিকেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়? ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ইউটিউব কি
ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও শেয়ার ও দেখার একটি ওয়েবসাইট, যাতে পৃথিবীর সকল জায়গা থেকে সব ভাষার মানুষ ভিডিও আপলোড করে থাকে।
এটা সম্পুর্ণ ফ্রি। আর এইসব ভিডি্ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপলোড করতে হয়। আর যারা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে থাকে তাদেরকে ইউটিউবার বলা হয়।
বর্তমানে ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করে মানুষ অনেক টাকা আয় করে। আর এ মাধ্যমে আয় করাকে পেশা হিসেবে নেয়া হচ্ছে। তাই বলা যায়, যে মাধ্যম ব্যবহার করে ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করা হয় তা ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে পরিচিত।
আরো সহজ ভাষায় বলা যায়, যে আমরা প্রতিনিয়ত ইউটিউবে যে ভিডিও ইউটিউব এ দেখি তা কোন না কোন ইউটিউব চ্যানেল আপলোড হয়ে থাকে। ইউটিউব চ্যানেল ছাড়া ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করা যায় না।
ইউটিউব চ্যানেল কি
আমরা সকলেই কমবেশি youtube ভিডিও দেখি ইউটিউব এ নিজেদের ভিডিও আপলোড করতে চাই। কিন্তু youtube এ ভিডিও আপলোড করার আগে ইউটিউব এ একটি চ্যানেল খুলতে হবে।
নয়তো ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। সোজা ভাষায় বলতে গেলে আপনাকে ইউটিউব এ একটি একাউন্ট খুলতে হবে।
যেমন আপনি facebook যেমন আপনার একটি প্রোফাইল আছে, কিছুটা সেরকম। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য যে প্রোফাইল তৈরি করা হয় সেগুলোকেই YouTube চ্যানেল বলা হয়।
ইউটিউব এ আয় করতে গেলে ইউটিউব এর শর্ত
তো বন্ধুরা ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনেক ভাবে আয় করা যায়। বর্তমানে বলা যায় যে সকল ইউটিউবার এই এডসেন্স একাউন্ট দিয়ে ইনকাম করে থাকে।
আপনিও চাইলে ইনকাম করতে পারেন কিন্তু youtube এর কিছু শর্ত আছে সেই শর্তগুলো আপনাকে পূরণ করে আপনাকে এডসেন্স অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
শর্ত গুলো জেনে নেওয়া যাক ইউটিউবে শর্ত হলো এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে অর্থাৎ আপনার youtube চ্যানেলের পেছনের এক বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইব আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে।
আমরা অনেকেই আছি youtube এ চ্যানেল খুলছি বা খোলার চেষ্টা করেছি আয় করার জন্য ইউটিউব এ আয় করতে চাইলে আপনাকে আপনার কন্টেন আপলোড করতে হবে।
আমরা এখনো অনেকেই আছি youtube এ চ্যানেল খুলছি কিন্তু অন্যের ভিডিও আপলোড করি অন্যের ভিডিও আপলোড করলে সে আপনাকে কপিরাইট কেলেম দিতে পারে।
আর আপনার ভিডিওতে যদি আপনি কপিরাইট কেলেম খান তাহলে আপনার চ্যানেলে youtube এডসেন্স দিবে না আর এডসেন্স না পেলে তো আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
আর আপনি যদি অন্যের ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন আর সে যদি আপনাকে কপিরাইট স্টাইক দেয় আর আপনি যদি তিন মাসে তিনটি কপিরাইট স্টাইক খান তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ইউটিউব ডিলিট করে দিবে।
তাহাই নিজেই ভিডিও ক্রিয়েট করে ক্রিয়েট করে ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করুন।
ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগবে জেনে নিন
তো বন্ধুরা আমরা এখনো অনেকেই আছি যে ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে চাচ্ছি আবার অনেকেই চিন্তা করতেছি যে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা প্রয়োজন ।
তো বন্ধুরা youtube চ্যানেল খুলতে কোন টাকা প্রয়োজন হয় না।
আর আপনি যদি একটি youtube চ্যানেল সঠিকভাবে খুলতে চান তাহলে আমার সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না টেনে পরুন। আর একটি সঠিকভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করব
ইউটিউব চ্যানেল এর ব্যাপারে জানার পর আপনি কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
আপনি চাইলে সহজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। তবে বর্তমানে ইউটিউব এর মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে,আরএই সুযোগটিকে যদি সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে চান তবে আপনার সঠিকভাবে একটি সঠিক ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কতগুলো ধাপ তথা স্টেপ রয়েছে। সঠিক ভাবে ধাপগুলো পার হওয়ার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল মূলত দুই ধরন হয়
- পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল
- ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল
আপনি চাইলে এদের মধ্যে যেকোনো টি তৈরি করতে পারেন এবং ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন। আপনি প্রফেশনাল হিসেবে নিতে চান এবং ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করেন তাহলে আপনি ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।
পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল কি
যেসব ইউটিউব চ্যানেলে অধিকাংশ একজন ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাকে পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল বলা হয়।
সোজা ভাষায় বলতে গেলে করুন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপনার মুরগি বা পোশা গরু ছাগলের ভিডিও আপলো ড করলেন তাহলে সেটি আপনার পার্সোনাল youtube চ্যানেল।
ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল কি
যেসব ইউটিউব চ্যানেল অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন টিম দ্বারা বা কোন প্রতিষ্ঠান দারা পরিচালিত হয় তাকেই ব্রান্ড ইউটিউব চ্যানেল বলা হয়।
ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল
যেসব ইউটিউব চ্যানেল অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন টিম দ্বারা বা কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা যেসব youtube চ্যানেল পরিচালিত হয় সেই সব youtube চ্যানেলকে ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল বলা হয়ে থাকে।
পার্সোনাল চ্যানেল গুলোর থেকে ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল গুলো অনেক বেশি প্রফেশনাল হয়ে থাকে।
মনে করেন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মুরগির বা গরুর খাবার ও সে সম্পর্কিত অন্য অন্য বিষয় এ ভিডিও আপলোড করেন এর মাধ্যমে বিক্রয় এর উদ্দেশ্যে চ্যানেল পরিদর্শন করেন সেগুলো ইউটিউব চ্যানেলকে ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল বলা হয়।
আপনি youtube চ্যানেল যেটাই খুলেন না কেন সব ইউটিউব চ্যানেলের মূলত একটি কাজ সেটা হলো কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউব এ আপলোড করা।আর ভিডিও তৈরি করে লোকদেরকে দেখানো বলতো youtube চ্যানেলের উদ্দেশ্য
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
আমরা অনেকেই আছি youtube চ্যানেল খুলতে চাচ্ছি কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারছি না। আমরা অনেক এই ইউটিউব চ্যানেলে অনেক বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকি ভিডিওগুলো দেখে অনেকেই ইউটিউ বে চ্যানেল খোলা চিন্তা করি যে এরকম যদি youtube এ আমার ভিডিও থাকতো তহলে আমাকে খুব ভালো লাগতো
আবার অনেকেই ইউটিউ বে চ্যানেল খুলে টাকা আয় করার চিন্তা করছি তাই আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে তৈরি করতে চান তাহলে আমার এই আইডিটি সম্পূর্ণ করুন তাহলে আপনি একটি সঠিকভাবে youtube চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে
- মোবাইল বা পিসি
- একটি সম্পূর্ণ ভেরিফাই জিমেইল অ্যাকাউন্ট
- ইউটিউব অ্যাপ
- ইন্টারনেট সংযোগ।
অনেকেরই ধারণা করে যে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কম্পিউটারে প্রয়োজন বা ভিডিও বানাতে কম্পিউটারে প্রয়োজন। এটি একটি আপনাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি প্রফেশনাল মানের youtube চ্যানেল এবং ভিডিও বানাতে পারেন আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটির মাধ্যমে।
আমরা আজ মোবাইল প্রফেশনাল মানের ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব এবং দেখাবো। কিন্তুু তার জন্য আমাদের দরকার ভেরিফাই জিমেইল একাউন্ট
ভেরিফাইড জিমেইল একাউন্ট ছাড়া প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা যায় না তাই আপনি একটি সম্পূর্ণ ভেরিফাইড gmail অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে আপনাকে ভেরিফাইড gmail অ্যাকাউন্ট লাগবে।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম? প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
সর্বপ্রথম আপনাকে যে কি কাজ করতে হবে সেটি হল প্রথমে আপনি আপনার ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে youtube.com লিখে সার্চ করবেন চার্জ করার পর youtube ওয়েবসাইট টিতে লগ ইন করবেন
আর মনে রাখবে আপনি যেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে youtube চ্যানেল খুলতে চাচ্ছে সেই জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ইউটিউবে লগইন করুন।
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে youtube ওয়েবসাইট দিতে লগইন করেন তবে আপনার ফোন এর ওরে ডান দিকে তির আইকনটিতে ক্লিক করুন এবং ডেক্সটপ মোর অপশনটিতে ক্লিক করে ডেক্সটপ মোরটি ওপেন করেনি।
যারা কম্পিউটার দিয়ে এই আর্টিকেল টি পড়ছেন আপনাদের লাগবে না শুধু মোবাইলের বেপারে ডেক্সটপ মোরটি অন করেনিতে হয়।
ডেক্সটপ মোর অন করার পর আপনার ডান দিকে প্রোফাইল আইকনটিতে ক্লিক করুন
এরকম আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে আসবে এরপর আপনি সেটিং অপশন টিতে আপনি ক্লিক করবেন
এরপর আপনার সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস আসবে এরপর আপনি যেটা করবেন আপনি Create a New Channel এখানে ক্লিক করবেন।
এরপর আপনার সামনে এই রকম ইন্টারফেস আসবে এইখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম দেবেন যেন আমি দিয়েছি Islamic studio present আপনিও আপনার পছন্দের নামটি এই জায়গায় দিয়ে নিচের টিক চিহ্ন জায়গাটা টিক চিহ্ন দিয়ে CREATE এতে ক্লিক করুন।
এরপর আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিউ করতে পারেন বা দেখতে পারেন।
আর এরকম লুক নিবে আর আপনি যদি ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আমার মত করে আপনার চ্যানেলের নিচে ভিডিও গুলো সো হবে।
আর আপনি যখন এভাবে একটি brand ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন তখন আপনি অন্যান্য ব্যক্তিকেও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের যাবতীয় কাজ করার জন্য access দিতে পারবেন।
তাহলে আশা করি আপনি বুঝেছেন প্রফেশনাল ইউটিউব ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে তৈরি করতে হয়।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে হয়
আমরা যখন দেখি নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করি তৈরি করার পর ইউটিউব চ্যানেলটি আমাদের ভালো করে কাস্টমাইজ করতে হয় আমরা অনেকেই আছি ইউটিউব চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে পারি না আর একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য customize করার খুব প্রয়োজন।
কারণ, একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন সেটিংস গুলো আগে থেকেই নিজের মতো করে setup করা থাকে না। তাই সবকিছু আপনার নিজের মত করার জন্য customize আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য খুব প্রয়োজন হয়।
যেমন ধরেন আপনার চ্যানেল প্রোফাইল ছবি profile photo, youtube চ্যানেলের কভার ফটো channel art, channel description, ইউটিউব চ্যানেলের ক্যাটাগরি ,channel category, ইউটিউ চ্যানেল কিওয়ার্ড ,channel keyword, এসব কিছু সেটিং করে নেওয়াকে channel customization বলা হয়।
এজন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের Channel Dashboard এ প্রবেশ করতে হবে। তার পর Customize Channel নামে বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
তারপর Layout, Branding এবং Basic info এরকম তিনটি options চলে আসবে।
এখন আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর জন্য channel art এবং icon জোগ করতে চান তাহলে Branding এ ক্লিক করলে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। এতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল একটি unique look পেয়ে যাবে।
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
আমরা এখনো অনেকেই আছি যে ভাবি যে মোবাইল দিয়ে মনে হয় ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায় না এটা আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ বর্তমানে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে একটি সুন্দর youtube চ্যানেল তৈরি করা যায় চলুন জানা যাক কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে একটি সুন্দর ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি প্রয়োজন হবে
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে আপনাকে সর্ব প্রথমে একটি জিমেইল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
আপনার একটি স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর যেকোনো একটি লাগবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর জন্যে একটি সুন্দর নাম খুজে বের করুন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম দেখুন ধাপে ধাপে।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলে আমি এখানে ধাপে ধাপে আপনাকে বুঝিয়ে দেবো
ধাপ. ১
সর্বপ্রথম আপনি যেই কাজটি করবেন সর্বপ্রথম আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে জেয়ে সার্চ করবেন youtube.com বা আপনি প্লে স্টোরে গিয়ে ইউটিউব অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিবেন
তার পর আপনি youtube.com এ ঢোকার পরে আপনার ক্রোম ব্রাউজার এর উপরে ডানদিকে কর্নারে একটা sign in অপশন পাবেন। এবং সেখান থেকে আপনি আপনি আপনার জিমেইল একাউন্ট লগ ইন করে নিন আর যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট না থাকে সেখান থেকে একটি ভালো করে জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিন
ধাপ.২
এখন আপনার ডান পাশের কর্নারে প্রোফাইল আইকন বা ম্যান আইকন আইকনে ক্লিক করুন ক্লিক করার পর আপনার জিমেইল একাউন্ট সেখানে লগইন করুন আর মনে রাখবেন আপনি যে জিমেইল একাউন্ট টি দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাচ্ছেন। সেই জিমেইল অ্যাকাউন্টটি লগইন করবেন আর যদি আপনি অন্য কোন জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করেন তাহলে আপনি যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তখন ওই জিমেইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি থাকবে। তাই আপনি যে জিমেইলটি দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাচ্ছে সেই gmail login করুন। লগ ইন করার পর দ্বিতীয় ধাপ শেষ হলো।
ধাপ.৩
আপনার জিমেইল একাউন্ট লগইন করার পর আপনার ডাইন দিকের উপরে প্রোফাইলের মতো একটি অপশন দেখতে পারবেন।
আপনি প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন করার পর আপনার সামনে কয়েকটি অপশন চলে আসবে সেখানে Your channel বা create a channel নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন সেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। আপনার তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
ধাপ.৪
আপনাকে একটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সুন্দর নতুন ইউনিক নাম সিলেক্ট করতে হবে। Your channel এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে নাম দেওয়ার জন্য দুইটি অপশন চলে আসবে। এখানে এই দুই টি অপসন এর মাঝে আপনি চাইলে প্রথম টি সিলেক্ট করতে পারেন।
এই টি সিলেট করলে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট এর নাম ই হবে আপনার ইউটিউব নাম। এছাড়া পরের টা আপনি চাইলে আপনার পছন্দের নাম এখানে লিখতে পারেন। আর আপনি পরের টি সিলেট করবেন আর আপনার পছন্দের নাম দিবেন। আর আপনার 4 ধাপ সম্পূর্ণ হলো।
ধাপ.৫
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি নাম কি চয়েজ করার পর আপনার সামনে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার সর্বশেষ কাজটি চলে আসবে। নাম দেওয়ার পরই আপনার সামনে যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে create নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে আপনি ক্লিক করবেন। আর আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি হয়ে যাবে।
ধাপ.৬
Create অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটা পেজ ওপেন হবে যেটাতে দুটো অপশন পাবেন একটি হচ্ছে customize channel আর অপরটি হচ্ছে YouTube studio।তো আপনি এই অপশন দুটোর মধ্যে প্রথমটি অর্থাৎ customize channel এ ক্লিক করে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম, ডেসক্রিপশন তৈরি করতে পারবেন ইত্যাদি এডিট করতে পারবেন। YouTube studio এই অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের এনালাইসিস করতে পারবেন এবং আপনি ভিডিও ক্রিয়েট করার পর ভিডিও আপলোড করতে পারবেন ইত্যাদি।
ধাপ.৭
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি করা হয়ে গেছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি আরো সুন্দর করতে এবং আকর্ষণীয় করতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি সুন্দর করে কভার ফটো বানিয়ে অ্যাড করুন। আর কভার ফটো সাইজ হলো 2560-1440 pixel
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম
আমার আর আর্টিকেলে উপরের অংশে আপনি দেখেছেন youtube চ্যানেল কিভাবে তৈরি করতে হয় আর আশা করি আপনি একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল বানাতে সক্ষম হবেন।
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর এখনো আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটির বিষয়ে জানিনি, সেটি হলো ইউটিউব ভেরিফাই (Youtube channel verification.)
কেনো আপনাকে ইউটিউব চ্যনেল ভেরিফাইড করবেন
যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাইড করা না হয়, তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলো ব্যবহার করার জন্য সেই ইউটিউব চ্যানেলটি উপলব্ধ হয় না বা কিছু ফিচারস available থাকে না। তাই তাই একটা youtube চ্যানেল ভেরিফাই করা খুব প্রয়োজন।
যেমন, আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই না করলে ভিডিওতে কাস্টম থাম্বনেইল লাগানো যায় না। যেখানে একটি ভিডিওতে ভালো পরিমাণে ভিউস পাওয়ার জন্য কাস্টম থাম্বনেইল প্রিয়জন অনেক বেশি। কারণ ইউটিউব থাম্বনেইল দেখি ভিজিটররা ভিউজ করে ।
আপনার চ্যানেল ভেরিফাই না করলে আপনি ১৫ মিনিটের বেশি সময়ের ভিডিও আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন না।
আর আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন লাইভ ভিডিও করতে পারবেন না।
এজন্য একটি ইউটিউব চ্যনেল ভেরিফাই করাটা খুবই জরুরি।
তো বন্ধুরা চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে একটি youtube চ্যানেল ভেরিফাই করা যায়
এজন্য প্রথমে ইউটিউবে প্রবেশ করে ডানদিকের ছোট প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন।
এরপর creator studio নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন আপনাকে সেখানে ক্লিক করতে হবে।
এরপরে বামদিক থেকে channel অপশনের উপর আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
তারপরে নিচের দিকে verify নামে একটি লেখা রয়েছে সেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
তারপর আপনাকে channel verification এর পেজে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেখানে আপনাকে text me verification code সিলেক্ট করে দিন। তারপর country সিলেক্ট করুন। এরপর mobile number দিন।
অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে একটি কোড আপনার মোবাইল নাম্বারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেটি এখানে লিখে দিতে হবে।
তারপর নিচে verify বাটনে ক্লিক করলে verification success হয়ে যাবে।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে কোন কোন বিষয়ের উপর ভিডিও আপলোড করা অধিক লাভজনক
ইউটিউবে চ্যানেল খোলার মূল উদ্দেশ্য হল ভিডিও বানিয়ে youtube আপলোড করা।
আপনি যদি একটি সঠিক নিয়মে ইউটিউব চ্যানেল খুলে বসে থাকেন এবং সেখানে জদি কোন ভিডিও আপলোড না করেন তাহলে আপনি চ্যানেলের অগ্রগতি আশা করতে পারেন না।
এজন্য আপনাকে high quality সম্পন্ন ভিডিও বানিয়ে আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে হবে।
সর্ব প্রথমে আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের niche বা বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। তার মানে আপনি কোন বিষয়ের উপর ইউটিউব এ ভিডিও তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন।
আপনি যদি আপনার ইচ্চা অনুযায়ী যেকোন বিষয়ের ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন এরকম কিচু ভাবছেন তাহলে এটি হলো ভুল কাজ।
যেমন ধরেন আপনি youtube চ্যানেল খুলছেন সেখানে আপনি ইসলামিক ওয়াজ ভিডিও আপলোড করেন সেই ইউটিউব চ্যানেলে যদি আপনি নাটক গান সেখানে আপনি আপলোড করেন তাহলে কিন্তু একনিশ হলো না। আর এক নিশে ভিডিও আপলোড না করলে ইউটিউব খুব সহজে ওই ভিডিওটিকে ভাইরাল করে না। আর ওই চ্যানেলটিকে ডাউন করে দেয় তাই আপনাকে এক নিশে আপনার ইউটিউব চ্যানেল আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে।
আপনাকে যেকোন একটি বিষয়ের বা নিশের উপর আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে।
কেন একটি ইউটিউব চ্যানেল একাধিক টপিকের ভিডিও আপলোড করা ভালো নয়
দেখুন, এটা আমার কথা নয়। অনেক অভিজ্ঞ বলো বরো ইউটিউবাররা এরকমটা বলে থাকেন যে, একটি ইউটিউব চ্যানেলের সবগুলো ভিডিও এক বিষয়ের উপর হওয়া উচিত। কেননা এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেলে অধিক views এবং subscribers আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সাধারণ তো আপনি যদি দেখেন যে, একজন মানুষ যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিও দেখার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আসে তাহলে একই বিষয়য়ের উপর আরেকটি ভিডিও দেখতে সে অবশ্যই আগ্রহী হবে।কারণ সে সেই বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দেখতে এসেছে। তাই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল একটি টপিকের উপর ভিডিও ছাড়বেন তাহলে আপনার ভিডিওটি তাড়াতাড়ি ভাইরাল হবার সম্ভাবনা থাকে।
ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগবে
তো বন্ধুরা আপনি হয়তো আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। যে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কোন টাকা লাগে না আর আমার আর্টিকেলটি আপনি দেখে ভালোভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন ধন্যবাদ।
আর আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর বন্ধুরা আমার আর্টিকেলটির নিচে আমি কয়েকটা লিংক দিয়েছি আপনি যদি এটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাচ্ছেন যদি ভালো কিছু নাম খুজে পাচ্ছেন না তাহলে আমার ওই আর্টিকেলটি আপনি পরে আসতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
তো বন্ধুরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম আপনি youtube চ্যানেল কিভাবে খুলবেন বন্ধুরা আর্টিকেল টি যদি আপনাকে ভালো লাগে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে দিবেন যেমন facebook whatsapp ইত্যাদি
তো বন্ধুরা আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার কমেন্ট এর রিপ্লাই দিব ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুন
- ইউটিউব থাম্বনেইল কি? ইউটিউব থাম্বনেইল সাইজ কত
- ইউটিউব চ্যানেলের নাম পরিবর্তন কিভাবে করব
- ইউটিউব চ্যানেলের নাম? সেরা ইউটিউব চ্যানেলের নাম
- টিকটক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় | টিকটক দেখে টাকা ইনকাম
- ইমেইল পাঠানোর নিয়ম: কিভাবে Email পাঠাতে হয়?
- গুগল ইমেজ সার্চ করার নিয়ম: কিভাবে ছবি দিয়ে গুগলে সার্চ দিবেন